বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে এখনো শেখ হাসিনার দোসররা রয়ে গেছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার নানা ষড়যন্ত্র করছে এবং জুলাই অর্জনকে বির্তকিত করতে চেষ্টা করছে। এই পরিস্থিতি চলতে দেওয়া যায় না।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় শিরোমনি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে অনুষ্ঠিত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালানো খানজাহান আলী থানার ওসি কবির হোসেন ও এসআই ইস্তিয়াককে প্রত্যাহার ও শান্তির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। খানজাহান আলী থানা বিএনপি এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে শফিকুল আলম মনা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, খানজাহান আলী থানার ওসি ও এসআইকে প্রত্যাহার না করা হলে আগামী ৫ মে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কার্যালয় ঘেরাও করবে খুলনা মহানগর বিএনপি।
তিনি বলেন, গত ২৭ এপ্রিল থেকে খানজাহান আলী থানা পুলিশ অন্যায়ভাবে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তান্ডব চালাচ্ছে। নেতাকর্মীদের পরিবারের সদস্যদের সাথে চরম দূর্ব্যবহার করছে। অথচ স্বৈরাচারের দোসররা, চিহ্নত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার করছেন না।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। খানজাহানআলী থানা বিএনপির সভাপতি কাজী মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ সাদী, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, সদর থানা বিএনপির সভাপতি কেএম হুমায়ুন কবীর, সোনাডাঙ্গা থানা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মনি, খালিশপুর থানার সভাপতি এড. শেখ মোহাম্মদ আলী বাবু, দৌলতপুর থানার সভাপতি মুর্শিদ কামাল, আসাদুজ্জামান আসাদ, শেখ ইমাম হোসেন, আনসার আলী, যুবদলের আব্দুল আজিজ সুমন, ইবাদুল হক রুবায়েত, স্বেচ্ছাসেবক দলের মিরাজুর রহমান মিরাজ, আতাউর রহমান রুনু, শ্রমিকদলের মজিবর রহমান, শািফকুল ইসলাম শফি, জাসাসের কেএম এ জলিল, ছাত্রদলের তাজিম বিশ্বাস, মতলুবুর রহমান মিতুল, জাহিদুল ইসলাম, মলি চৌধুরী, শিরিনা আক্তার, কাজী শহিদুল ইসলাম, বেলায়েত হোসেন, সৈয়দ মাঈনুল ইসলাম, এমদাদ হোসেন, মীর শওকত হোসেন হিটু, ইকবাল হোসেন মিজান, জাহাঙ্গীর হোসেন খোকা প্রমূখ।
খুলনা গেজেট/এমএম